অধ্যাদেশ জারি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:১৭ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি সরকারের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা
জানান।
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শীর্ষক এ
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই ও সুপারিশ
করার জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে। যার নাম হবে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল
অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’। প্রধান বিচারপতি হবেন সাত সদস্যের
এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সচিবালয়ে এক
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আজ অত্যন্ত
আনন্দের সাথে জানাতে চাই এ আইনটা হয়েছে।’
এ আইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন থেকে আলাদা খসড়া পাঠানো হয়েছিল বলে জানান উপদেষ্টা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির
নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কাউন্সিল থাকবে। কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে থাকবেন আপিল বিভাগের
একজন প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন প্রবীণতম বিচারক, আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত
বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং একজন আইনের অধ্যাপক বা আইনবিশেষজ্ঞ। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত
বিচারক এবং একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করবেন কাউন্সিলের প্রধান। সুপ্রিম
কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করবে উল্লেখ
করে তিনি বলেন, একই সঙ্গে যেকোনো মানুষ, যেকোনো আইনজীবী যাতে নিজের ইচ্ছায় আবেদন বা
কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আছে। এই কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই
করার পর সাক্ষাৎকার নেবে। এই কাউন্সিলের নাম হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট
কাউন্সিল।
আসিফ নজরুল বলেন, উচ্চ আদালতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ, দক্ষ ও দলনিরপেক্ষ
এবং প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ হবে-
এমন
একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর ধরে ছিল। এখন এ বিষয়ে আইন হয়েছে। একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারকেরা নিয়োগ পাবেন বলে আশা করি।
সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি সমাজে দীর্ঘদিন ধরে আছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। এটির উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একটু সময় লাগছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য।