ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১১ পিএম
অভিযুক্ত সাবেক সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ। ছবি: সংগৃহীত
এইচএসসি পরীক্ষায় সন্তানের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। একই মামলায় শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণের ছেলেসহ আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক
ড. এ. কে. এম. সামছু উদ্দিন আজাদ নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র নাথ ও তার ছেলে নক্ষত্র
দেবনাথ, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান এবং সাবেক
চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন,
‘২০২২ সালে
অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর। মামলায় অভিযোগ
করা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশের আগে যে কোনো সময় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে নক্ষত্র
দেবনাথের ফলাফল পরিবর্তন করেন। নক্ষত্র ছাড়া বাকি তিনজন জালিয়াতি সংঘটনের সময় চট্টগ্রাম
শিক্ষাবোর্ডে স্ব স্ব পদে দায়িত্বরত ছিলেন।’
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি)
বিভাগের শৃঙ্খলা অণুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার নারায়ণের বিরুদ্ধে
ফৌজদারি মামলা করাসহ একাধিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
নারায়ণ চন্দ্র নাথ ২০২২ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের
দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে বছর তার ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক
স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর অভিযোগ ওঠে,
নারায়ণ চন্দ্র নাথ তার ছেলেকে জালিয়াতির মাধ্যমে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দিয়েছেন। জালিয়াতির
অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের
সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ফলাফল জালিয়াতির বিতর্কের মধ্যে গত বছর তাকে বোর্ড থেকে
সরিয়ে মাউশির চট্টগ্রামের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মাউশি’র শৃঙ্খলা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব শতরূপা তালুকদারের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, তদন্তে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য নারায়ণের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া ও নক্ষত্রের ফলাফল বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে জালিয়াতির দায়ে মাউশি’র চট্টগ্রামের পরিচালক পদ থেকে নারায়ণকে ওএসডি করা হয়। তার ছেলের ফলাফল বাতিল করা হয়।