উচ্চ আদালত
পারভেজ খান
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪২ এএম
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:২৪ এএম
ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা হামলা চালানোর অভিযোগে দায়ের করা বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন । উচ্চ আদালতে আপিল আর ডেথ রেফারেন্সে এসে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সেই সাজা বহাল থাকবে কি নাÑ সেটা জানা যেতে পারে আজ রবিবার। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের ধারণা, রবিবারের রায়ে পাল্টে যেতে পারে অনেক কিছুই। আর এই রায় পাল্টে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে বহুল আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে বিগত সরকারের ‘সাজানো অনেক নাটকীয় কর্মকাণ্ডও’।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় জানা যাবে আজ। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণার জন্য আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে এই মামলা দুটি (ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিল)। এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে পৌঁছয়। এটি সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
বাবরসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন
আদালতের রায়ে ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেনÑ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
তারেক জিয়াসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের রায়ে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেনÑ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মুফতি আবদুর রউফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মুরসালিন, মুত্তাকিন, জাহাঙ্গীর বদর, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. ইকবাল, রাতুল আহমেদ, মাওলানা লিটন, মো. খলিল ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।
আইনজীবীরা বলেছেন, কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল, নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। ডেথ রেফারেন্স এবং এসব আপিল ও আবেদনের ওপর সাধারণত একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তিনজন দণ্ডিতের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির।
আদালত সূত্র মতে, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তখন থেকেই এই মামলার এজাহার থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই নানান আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলা দুটির অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে তারেক রহমানসহ যাদের আসামি করা হয়েছে, সেটি আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সেটা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না দিয়ে সরাসরি জজ আদালতে দায়ের করা হয়। সেজন্য এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটিরও আইনগত ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছেন তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মোট ৪৯ জন আসামি ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া তারেক রহমান এবং হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে। তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দণ্ডিতরা কে কোথায়
তারেক রহমান : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৭ বছর যাবৎ লন্ডনে অবস্থান করছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
লুৎফুজ্জামান বাবর : বিএনপি সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বাবর গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম পিন্টু : বিএনপি সরকারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন আব্দুস সালাম পিন্টু। এ ছাড়া তখন তিনি টাঙ্গাইল জেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী থাকলেও তারেক রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ : জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি। যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলার সাজা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
মুফতি হান্নান : হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিলেন তিনি। এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তারেক রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অনেককেই এ মামলার আসামি করা হয়। সিলেটে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালেই তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
তাজুল ইসলাম : মাওলানা তাজউদ্দীন হিসেবে পরিচিত। তিনি বিএনপি সরকারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন বলে জানা যায়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
হারিছ চৌধুরী : বিএনপি সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে তিনি মারা যান। সম্প্রতি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
মোহাম্মদ হানিফ : পরিবহন সংস্থা হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ পলাতক। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি থাইল্যান্ড আছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়।
মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী : বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম : জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বা এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক। মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ : বিএনপির টিকিটে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। মামলার অভিযোগপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি সৌদি আরব বা দুবাইয়ে আছেন।
লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক এ কর্মকর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে। এই মামলায় তার দুই বছরের সাজা হয়।
শহুদুল হক : আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশ প্রধান ছিলেন শহুদুল হক। মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার।
মোহাম্মদ আশরাফুল হুদা : গ্রেনেড হামলার সময় আশরাফুল হুদা ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। মামলায় দুই বছরের সাজা হয় তার।
খোদাবক্স চৌধুরী : হামলার সময় অতিরিক্ত পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন খোদাবক্স চৌধুরী। মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান এবং এএসপি আব্দুর রশিদসহ কয়েকজনকে এই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
নিহত হন কারা?
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন, আহত হন শেখ হাসিনাসহ ৩ শতাধিক। নিহতরা হলেনÑ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মারা যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ সেন্টু, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আদা চাচা নামে পরিচিত আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ কর্মী সুফিয়া বেগম, হাসিনা মমতাজ রীনা, মাদারীপুরের যুবলীগ কর্মী আবুল কালাম আজাদ, লিটন মুন্সী ওরফে লিটু, রি-রোলিং মিল ব্যবসায়ী রতন সিকদার, রিকশা শ্রমিক লীগ নেতা হানিফ, ছাত্রলীগ কর্মী মামুন মৃধা, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন, আতিক সরদার, যুবলীগ কর্মী আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, শ্রমিক লীগ কর্মী নাসিরউদ্দিন সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী রেজিয়া বেগমসহ ইছহাক মিয়া, শামসুদ্দিন, আবুল কাসেম, জাহেদ আলী ও মমিন আলী। এ ছাড়াও আরও দুজন মারা যান গ্রেনেড হামলায়। তাদের পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।