প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৭ পিএম
প্রয়াত হারিছ চৌধুরী। ছবি সংগ্রহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে মরদেহ তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহদিন চৌধুরী। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
পরে সামিরা বলেন, ‘বাবাকে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা হয়েছে বারবার। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়, যা অত্যন্ত বেদনার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধোঁয়াশা যেন দূর হয়।’
তিনি জানান, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ঢাকার অদূরে একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর লাপাত্তা হয়ে যান হারিছ। পরবর্তিতে তার অনুপস্থিতিতে কয়েকটি মামলায় সাজা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাড়ি অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আরেক মামলায় তার ৫৯ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হয়।
২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে হারিছেরও সাত বছরের সাজা হয়। তার আগেই ওই বছর গ্রেনেড হামলার মামলায় হারিছের সাজার রায় হয়। হারিছ বিদেশে পালিয়ে আছেন বলে মামলাগুলোর তদন্তকারীরা তখন বলে আসছিলেন। হারিছের স্ত্রী-সন্তানরাও যুক্তরাজ্যে ছিলেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে হারিছের কথিত মৃত্যুর খবর আসে। তবে কোথাও বলা হচ্ছিল, হারিছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। কোথাও বলা হয়, লন্ডনে মারা গেছেন ।
একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হারিছ চৌধুরী ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালেই তিনি মারা যান। তাকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসায় ৪ সেপ্টেম্বর দাফন করা হয়।