রংপুরে তাহির হত্যা
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৬:২৬ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রংপুরে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) সকালে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায়, গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নুর ইসলাম পাটোয়ারী, মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমা জামান ববি, আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, রফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ইঞ্জিনিয়ার শাহাদৎ হোসেন, শাহাজাদা আরমান, হারুন-অর-রশীদ, ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লহ্মীন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, জেলা যুবলীগ কর্মী ডিজেল আহমেদ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ ছনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. মানিক, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহানুর ইসলাম সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. মামুনসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যে কোনো মূল্যে দমন করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মেরে ফেলার জন্য লেলিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগ-অঙ্গসংগঠনের নেতারা রংপুরে স্বশস্ত্র অবস্থায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশ গুলি করে তাহিরকে হত্যা করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এএসএম মাহমুদুল হক সেলিম বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল তাহিরের বাবা আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে সরাসরি এজাহার হিসেবে তা রেকর্ডের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই সব আসামি গ্রেপ্তার হোক। আদালত আজ যে আদেশ দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’
গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকে ঘিরে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ঢাকার অষ্টম পর্বের ছাত্র রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল তাহির।