প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪ ০৯:০১ এএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৪ ১১:২৬ এএম
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি : সংগৃহীত
ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, যদি কোনো প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থায় মারা যান, তবে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রের সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ নেতা দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন।
অনুচ্ছেদে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিলকে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী রাইসি মারা গেলে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে ইরানে প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচন হবে। ২০২১ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে দেশটিতে ২০২৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।
ইব্রাহিম রাইসি কে?
ইব্রাহিম রাইসি ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে একটি যাজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সে তাকে ইরানের আলোর্জ প্রদেশের রাজধানী কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল মনোনীত করা হয়। এরপর ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরানের বিচার বিভাগের ডেপুটি চিফ ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে জাতীয় প্রসিকিউটর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২১ সালের জুনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাইসি। সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। তিনি যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তখন ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটে থাকা ইরানের হাল ধরেছিলেন তিনি। এর পর থেকে অনেকেই রাইসিকে খামেনির উত্তরাধিকারী হওয়ার শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে দেখেছেন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের আগে রাইসির বক্তব্য
রবিবার বাঁধ উদ্বোধনের পর এবং দুর্ঘটনার আগে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের সমর্থনের কথা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে ফিলিস্তিন মুসলিম বিশ্বের প্রথম সমস্যা এবং আমরা নিশ্চিত যে ইরান এবং আজারবাইজানের জনগণ সব সময় ফিলিস্তিন ও গাজার জনগণকে সমর্থন করে এবং ইহুদিবাদী শাসককে ঘৃণা করে।’
সূত্র : ডন