ফিলিস্তিনে গণহত্যা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪ ২৩:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ছে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ। এবার গ্রিস ও নেদারল্যান্ডে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরুর এক দিন পর এসব সংঘর্ষ হলো।
গ্রিসের সংসদ ভবনের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা এবং ব্যানার হাতে র্যালি বের করেন তিন শতাধিক বিক্ষোভকারী। তাদের একজন আন্তোনিস দাভানেলোস।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনরা যখনই ডাকবে তখনই আমরা সাড়া দেব।’ বিক্ষোভকারীরা যখন মিশরের দূতাবাসের গেটে উঠতে শুরু করে তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
এদিকে গত মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডের রাজধানীতে ফিলিস্তিনপন্থি হাজারও বিক্ষোভকারী সড়কে নেমে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আমস্টারডাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে যাওয়ার সময় হলোকাস্ট মনুমেন্ট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়। বিক্ষোভকারীরা আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সরু খালমুখী সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এর আাগে সকালে শত শত মানুষ জড়ো হয়। তারা গাজায় যুদ্ধের বিপক্ষে স্লোগান দেয়।
আমস্টারডাম পুলিশ বুলডোজার ব্যবহার করে ব্যারিকেড গুঁড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ১৬৯ জনকে আটক করে।
পুলিশের জবাবে ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার বিকালে আরেকটি বিক্ষোভের ডাক দেয়।
ফিলিস্তিনদের জন্য নিজেদের ডাচ পণ্ডিত বলে অভিহিত করা একটি দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ছাত্র এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাদের দমাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, মরিচের গুঁড়া ও বুলডোজার ব্যবহার করেছে। এই অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে মানুষ আহত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সোমবার বিকালে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভ মারধর, আতশবাজি ছোড়া এবং ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানোর মাধ্যমে বৈরী হয়ে ওঠে।