প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ১১:৫৪ এএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ১২:৩৪ পিএম
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি : সংগৃহীত
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লি আবগারি নীতি বাতিল করার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আলোচনা করবে। মঙ্গলবার (৭ মে) এ আলোচনা করা হবে।
২১ শে মার্চ দিল্লি আবগারি নীতি বাতিল করার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতার আবেদন বিবেচনা করে কার্যক্রম শুরু করবে।
গত ৩ মে সুপ্রিম কোর্ট চলতি লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। আইনি প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য সময়সাপেক্ষ প্রকৃতির কথা স্বীকার করে আদালত ২৫ মে দিল্লিতে নির্ধারিত নির্বাচনের আগে এএপি প্রধানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) যুক্তি শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আগের শুনানির সময় ইডির প্রতিনিধিত্বকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনোভাবেই কোনো মন্তব্য করছি না। আমরা শুধু অন্তর্বর্তী জামিনের বিষয়ে শুনব বলছি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেব তা বলছি না। আমরা অন্তর্বর্তী জামিন দিতেও পারি আবার নাও দিতে পারি।’
বেঞ্চ কেজরিওয়ালের বর্তমান আইনি দুরবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার সরকারি দায়িত্ব সম্পর্কে, বিশেষত সরকারি নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর কাছ থেকে রাজনৈতিক তাহবিল নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। আর এজন্য জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) তদন্তের সুপারিশ করেছেন। এরপরই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।
এএপি নেতারা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পরিকল্পিত আরেকটি রাজনৈতিক কৌশল।’
সূত্র : এনডিটিভি