প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ২২:২৮ পিএম
পশ্চিমাদের ‘উস্কানিমূলক’ হুমকির পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
সোমবার (৬ মে) ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা এবং ন্যাটো সদস্যদের সৈন্য পাঠানোর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক মহড়া চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ায় তারা পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের প্রস্তুতি অন্তর্ভুক্ত করবে। এর মাধ্যমে যুদ্ধের প্রস্তুতির সব কাজ পূর্ণতা পাবে।
কবে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে তা পরিষ্কার করেনি ক্রেমলিন। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুব দ্রুত হতে যাওয়া এই মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনবিষয়ক দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক বিভাগ ও নৌবাহিনী অংশ নেবে।
রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনী নিয়মিত অনুশীলন করে। তবে এই প্রথম ঘোষণা দিয়ে মহড়া চালানোর কথা জানানো হলো। কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পুরো শহর ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। বলেছেন কিয়েভ চাইলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। এক দিন পরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এ ধরনের মন্তব্যের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর নিন্দা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান বাহিনী প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ক্রেমলিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে পড়ে।
রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের অবস্থান।