প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৩:২৬ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ১৯:০৫ পিএম
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি : সংগৃহীত
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় ভারতের মানহানি করায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এর কঠোর জবাব দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
নিজ্জর হত্যার অভিযোগে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ করণ ব্রার, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং নামে তিন গ্যাংস্টারকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা বিভিন্ন ভিসা নিয়ে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছিল।
সবচেয়ে খারাপ দিকটি হল ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মোদী সরকারকে সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে আজ অবধি কোনও প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি বা এর জন্য আদালতে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
শনিবার (৪ মে) ভুবনেশ্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই সমস্ত নাটকের সাথে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এটি ভোটমুখী কানাডার অভ্যন্তরীণ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ছিল। ভারত বিদ্বেষী জগমিত সিং পরিচালিত খালিস্তান সংশ্লিষ্ট নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থনে ট্রুডো সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘কানাডা সরকারের কাছে ২৫ জনকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পঞ্জাব থেকে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার ও মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা কেবল ২৫ জনে সীমাবদ্ধ না। এর চেয়েও দীর্ঘ। এই মাফিয়ারা উত্তর ভারতে পুরোদস্তুর চাঁদাবাজি ও অর্থের বিনিময়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও কানাডা সরকার ও পুলিশ ভারতের দাবিতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং খালিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে ট্রুডো সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মৌলবাদী ভোট পাওয়ার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করছে।’
গত জুনে ভ্যাঙ্কুভারের সারে শহরে শিখ মন্দিরের বাহিরে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সি নিজ্জরকে। এর কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ হত্যায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার দাবি করেন। এতে নয়াদিল্লির সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস