প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১০:৩০ এএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ১০:৫১ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে নাইজারীয়রা বিক্ষোভ করছে। ১৩ এপ্রিল নিয়ামেতে। ছবি : সংগৃহীত
আফ্রিকার দেশ নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সেনারা। নাইজারের সামরিক জান্তা দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশনা দেওয়ার এক মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে অবস্থান নিয়েছে রুশ সেনারা।
গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর এ বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার সেনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে মিশছেন না রুশ সেনারা। তবে ১০১ নামের ওই বিমানঘাঁটির একটি আলাদা হ্যাঙ্গারে অবস্থান নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই ঘাঁটি নাইজারের দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এমন সময় রুশ সেনারা অবস্থান নিয়েছে যখন এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক টানাপড়েন চলছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
এ ছাড়া ওই ঘাঁটিতে যেসব যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে স্বল্প সময়ে এটি ম্যানেজ করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত নাইজার এবং রাশিয়ার দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। নাইজারের জান্তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলছে। এ কারণে তাদের দেশে মার্কিন সেনারা থাকতে পারবে না।
নাইজারের সেনারা অভ্যুত্থানের পরপরই প্রথমে ফ্রান্সের সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের চলে যেতে বলছে। মূলত আফ্রিকার দেশগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে। অপরদিকে নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার দারস্থ হচ্ছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান