প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ০৯:৪২ এএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ১০:৫৬ এএম
শুক্রবার দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফায় রাতভর ইসরায়েলি হামলার পর চাহিন পরিবার দুই প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৬ বছরের কম বয়সি পাঁচ ছেলে ও মেয়েকে দাফন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০০ জনের বেশি। বুধবার (১ মে) থেকে শুক্রবার বিকালের মধ্যে এ হামলাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজায় অতিপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ ইসরায়েলের অব্যাহত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ত্রাণ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের মতে, ২৭ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবারের (২ মে) মধ্যে উত্তর গাজায় ২৩টি মানবিক সহায়তা মিশনের মধ্যে মাত্র আটটিকে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজায় প্রবেশ করতে দিয়েছিল। ১২টি (৫২ শতাংশ) মিশন তাদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, দুটি মিশন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল ও একটি মিশন বাতিল করা হয়েছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩ শিশুসহ ৭৭ হাজার ৮৬৭ জন আহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা