প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪ ১৮:৩৮ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রাহুল গান্ধী। ১৭ এপ্রিল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের কংগ্রেসের কর্তাব্যক্তি রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি নির্বাচনী আসন থেকেও চলমান লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন। শুক্রবার (৩ মে) সকালে কংগ্রেস এ ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার বিকালে এ আসনে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি। রায়বেরেলির পাশাপাশি নিজের বর্তমান আসন কেরেলার ওয়েনাদ থেকেও তিনি নির্বাচন করবেন।
রায়বেরেলি ঐতিহাসিকভাবে কংগ্রেসের ঘাঁটি। এর প্রতিবেশী আমেঠি আসন থেকেও ১৯৫০ সাল থেকে গান্ধী পরিবার বা তাদের একান্ত পছন্দের ব্যক্তিরা জিতে আসছেন।
২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে রায়বেরেলি থেকে জিতেছিলেন রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী। এবার তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভার নির্বাচন করবেন। এতে প্রত্যক্ষ ভোট হয় না। ভোট হয় পরোক্ষ।
সোনিয়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রায়বেরেলি থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এ আসনে মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাচনী প্রচারণায় দিন-রাত কাজ করেছেন সোনিয়ার মেয়ে ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরে। কিন্তু এবারের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচন করতে যাওয়া প্রিয়াঙ্কাকে মনোনয়ন দিতে সাহস করেনি কংগ্রেস।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী আমেঠিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কিশোরী লাল শর্মাকে। তিনি গান্ধী পরিবারের অনুগত হিসেবে পরিচিত। এ আসন থেকে গত নির্বাচনে হেরেছিলেন রাহুল গান্ধী, যা ছিল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তবে ওই বছর কেরেলার ওয়েনাদ থেকে জিতে লোকসভায় টিকিট নিশ্চিত করে মান সম্মান বাঁচিয়েছিলেন রাহুল।
এবার রায়বেরেলি থেকে না হলেও আমেঠি থেকে প্রিয়াঙ্কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা-ও হয়নি। প্রিয়াঙ্কা কিশোরী লাল শর্মার মনোনয়নকে যথার্থ মন্তব্য করে তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
ভারতে নিয়ম অনুযায়ী, এক ব্যক্তি দুই আসন থেকে জিতলে তাকে একটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এ অবস্থায় রাহুল গান্ধী দুই আসনেই জিতলে কোন আসন ছাড়বেন, তা নিয়ে মধুর সমস্যা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। এখানে লোকসভার আসনসংখ্যা ৮০টি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এ প্রদেশ থেকে সোনিয়া গান্ধী রায়বেরেলি থেকে জেতা ছাড়া কংগ্রেসের আর কোনো সদস্য জিতেনি।
ভারতে ৯ এপ্রিল ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়। এবার ৭ দফায় নির্বাচন হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই দফার নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৭ মে। সপ্তম ও শেষ দফার ভোগগ্রহণ ১ জুন। একযোগে ফল ঘোষণা ৪ জুন।
সূত্র : এনডিটিভি, রয়টার্স