প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ১০:০২ এএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪ ১০:৫১ এএম
দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর খান ইউনিসে একজন ফিলিস্তিনি তার বাড়ি পুনর্নির্মাণ করেছেন। ছবি : সংগৃহীত
গাজার বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে অন্তত ১৬ বছর অর্থাৎ ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে এটি কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে শত শত কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জনাকীর্ণ গাজা উপত্যকার অনেক উঁচু কংক্রিটের ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজার এক ভবন মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে গাজা সংকটের সময় দ্রুত নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছিল। তার তুলনায় পাঁচ গুণ দ্রুত নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করা হলে ২০৪০ সালের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করা যেতে পারে।
কিন্তু জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, গাজার পূর্ববর্তী সংঘাতগুলোর পুনর্গঠনের যে গতি ছিল সে অনুসারে অনুমান করলে গাজার ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত সব আবাসন ইউনিট পুনরুদ্ধার করতে প্রায় ৮০ বছর সময় লাগবে।’
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পৃথক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজার ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশ স্কুল কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশের বেশি স্কুলের পুরোপুরি পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হবে।
ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে নজিরবিহীন মাত্রার এ মানবিক ক্ষতি, মূলধন ধ্বংস ও দারিদ্র্যের ব্যাপক বৃদ্ধি একটি গুরুতর উন্নয়ন সংকটের সূচনা করবে; যা আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করবে।’
ইউএনডিপির মূল্যায়নে যুদ্ধের আর্থসামাজিক প্রভাব সম্পর্কে বর্তমান সংঘাতের সময়ের ওপর ভিত্তি করে কয়েক দশকের দুর্ভোগের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স