প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৬ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২৮ এএম
একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ফিলার দিয়ে ঠোঁটে কনট্যুর প্লাস্টিক সম্পাদন করছেন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি লাইসেন্সবিহীন মেডিকেল স্পা সেন্টারে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ করানোর পর তিন নারী এইডস বা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কোনো রূপচর্চা প্রক্রিয়ার কারণে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিডিসি গত সপ্তাহে মরবিডিটি অ্যান্ড মর্টালিটি রিপোর্টে জানায়, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্লিনিকটি নিয়ে করা তদন্তে দেখা গেছে, একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয় এমন সরঞ্জামগুলো এখানে পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছে।
অনেক জনপ্রিয় কসমেটিক চিকিৎসায় সূচ ব্যবহার করা হয়। যেমন মুখের বলিরেখা দূর করতে বোটক্স ও ঠোঁট মোটা করার জন্য ফিলার চিকিৎসায় সূচ ব্যবহার করা হয়। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুই ব্যবাহর করা হয়। ট্যাটু তৈরিতেও সূচের প্রয়োজন হয়।
২০১৮ সালের গ্রীষ্মে ৪০ বছরের এক নারীর এইচআইভি শনাক্ত হয়। অথচ যে সব কারণে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে ওই নারীটির সঙ্গে সে রকম কিছুই হয়নি। তবে তিনি উল্লিখিত স্পা সেন্টারে ওই বছরের বসন্তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করানোর কথা সিডিসিকে জানান। ওই বছরের শরতে তদন্ত শুরু হওয়ার পর সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। লাইসেন্সছাড়া ওষুধ দেওয়ায় স্পাটির মালিককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
এরপর ওই স্পা সেন্টার নিয়ে বড় ধরনের তদন্ত শুরু করে সিডিসি। সেন্টারটির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নথিবদ্ধ না থাকায় তদন্ত শেষ করতে লম্বা সময় লাগে। ২০২৩ সালে তদন্ত শেষ হয়। গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সিডিসি। এতে ওই স্পা সেন্টারে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে তিন নারীর এইডস হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইয়ের মাধ্যমে প্রসাধনী সেবা সরবরাহকারী ব্যবসাগুলোতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ চর্চা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এ তদন্তে উঠে এসেছে।
এইডস একটি মরণঘাতী রোগ, যা এইচআইভি ভাইরাসের আক্রমণের ফলে হয়। সাধারণত এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সুই ব্যবহার করলে বা এ ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সুস্থ ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল যে করাবেন তার শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। সে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুইয়ের মাধ্যমে তা তার মুখের ত্বকের নিচে ঢুকানো হয়। এতে অসংখ্য সুই ব্যবহার করা হয়। প্লাজমার মাধ্যমে ফেসিয়ালকারীর ত্বক উজ্জ্বল হয়।