প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৫ পিএম
হামাসের প্রতিনিধিত্বকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া। ছবি : সংগৃহীত
মিসর ও কাতারের কাছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের পাঠানো জিম্মি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস। এর আগে ১৩ এপ্রিল জিম্মি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় গোষ্ঠীটি।
হামাসের উপপ্রধান এবং এর আরব ও ইসলামিক রিলেশনস অফিসের প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘১৩ এপ্রিল মধ্যস্থতাকারী মিসর ও কাতারের কাছে দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
এর আগে গত নভেম্বরে জিম্মি বিনিময় হয়েছিল। যেখানে ৭১ জন নারী ও ১৬৯ জন শিশুসহ ২৪০ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ৮১ জন ইসরায়েলি ও ২৪ জন বিদেশিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ গাজার ৮৫ শতাংশ জনগণকে খাদ্য, পরিষ্কার পানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে ফেলেছে। তাদের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুততে পরিণত করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আইসিজে জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।
সূত্র : আনাদোলু