প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:০১ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩০ পিএম
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে। ছবি : সংগৃহীত
বেইজিংয়ের উন্নতিকে ওয়াশিংটন ইতিবাচকভাবে দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, চীন আত্মবিশ্বাসী, খোলামেলা, সমৃদ্ধ ও ক্রমশ উন্নতি করছে এমন যুক্তরাষ্ট্রকে দেখে খুশি। তাই বেইজিং আশা করে ওয়াশিংটনও চীনের উন্নতিকে ইতিবাচক চোখে দেখবে। এটাই আমাদের সম্পর্কের একেবারে গোড়ার কথা। এটা শার্টের প্রথম বোতামের মতো।
তিন দিনের সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিনিধিদল নিয়ে সাংহাইয়ে পৌঁছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদেরও একাধিক বৈঠক হয়েছে।
সাংহাইয়ে পৌঁছার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওবার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মুখোমুখি বসে কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কোনো বিকল্প নেই। ভুল হিসাব-নিকাশ এবং পরস্পরের বিষয়ে ভুল ধারণা এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন জনগণের স্বার্থ এগিয়ে নেওয়া আমার এ সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।’
বুধ ও বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ে কাটানোর পর শুক্রবার সকালে রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি ইতোমধ্যে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রাথমিক সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর ‘দিয়াওয়ুটাই স্টেট গেস্টহাউসে’ তাদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাথমিক বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে দৈত্যাকার জাহাজ সবে কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক বিষয় এখনও বিকাশ ও বিস্তার লাভ করছে। আমাদের সম্পর্ক সব ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চীনের ন্যায্য উন্নয়নের অধিকারকে অযৌক্তিকভাবে দমন করা হয়েছে এবং আমাদের মূল স্বার্থগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য ‘সক্রিয় কূটনীতির’ কোনো বিকল্প নেই। গত নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও শি জিনপিং বৈঠকে যেসব এজেন্ডা ঠিক করেছেন, আমাদের সেগুলো নিয়ে এগোতে হবে। মতানৈক্যের বিষয়গুলো আমাদের কাছে যতটা সম্ভব পরিষ্কার।’’
রয়টার্স জানায়, ব্লিঙ্কেন চীনে ফেন্টানাইল, রাশিয়া, তাইওয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়েই মূলত আলোচনা করবেন।
সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসির অধ্যাপক আলফ্রেড উ বলেন, ‘ব্লিঙ্কেনের এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে তারা যে যোগাযোগের দরজা খোলা রাখতে চাইছেন, বিশ্রী পরিস্থিতি এড়াতে চাইছেন, তা স্পষ্ট।’
বেইজিংভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা বং হুইয়াও বলেন, ‘উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে চাইছে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক যোগাযোগ এই বার্তা দেয়।’
সূত্র : রয়টার্স, সিনহুয়া