প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
রাফার ৫ কিলোমিটার উত্তরে খান ইউনুসে ইসরায়েলের নতুন সেনা সমাবেশের স্যাটেলাইট ইমেজ। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েল শিগগির স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বুধবার (২৪ এপ্রিল) গাজায় আরও দুটি রিজার্ভিস্ট ব্রিগেডস পাঠিয়েছে দেশটি। তারা রাফার মাত্র ৫ কিলোমিটার উত্তরে খান ইউনিস শহরে অবস্থান করছে।
রাফা মিসরের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলটি ছাড়া গাজার সবখানে স্থল অভিযান চালিয়ছে ইসরায়েল। কয়েক মাস ধরে এ অঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে দেশটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে দেশটির শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতারা অঞ্চলটিতে স্থল অভিযান চালানোর কথা একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের কারণে তা এত দিন সম্ভব হয়নি। ইরান-ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের রাফা অভিযান অনেকটা সহজ হয়েছে।
রাফায় গাজার উদ্বাস্তুদের বিশাল অংশ আশ্রয় নিয়েছে। উপত্যকাটির ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ২১ লাখ স্থানচ্যুত হয়েছে। স্থানচ্যুতের প্রায় ৭০ শতাংশ আশ্রয় নিয়েছে রাফায়। এখন সেখানে স্থল অভিযান চালালে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধের শুরু থেকে রাফায় নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছিল ইসরায়েল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের সীমানা বেড়া টপকে, প্যারাসুটে করে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। হামাস জিম্মি করে আরও প্রায় ২৫০ জনকে।
এ হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। স্থানচ্যুত হয়েছে উপত্যকাটির ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৯০ শতাংশ। দেশটির প্রায় শতভাগ মানুষ খাদ্যসংকটে রয়েছে। ইতিহাসের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলটি।
সূত্র : গার্ডিয়ান