প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪৮ এএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৯ এএম
ভারী বৃষ্টির কারণে গুয়াংডং প্রদেশের কিংইয়ুয়ানের একটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ছবি : রয়টার্স
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের জনবহুল পার্ল রিভার ডেল্টার জনপদগুলো বন্যায় ভেসে গেছে। গেল বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে টানা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শক্তিশালী ঝড় হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়া প্রদেশটিতে আগাম বন্যা ডেকে এনেছে, যা মূলত মে-জুনে শুরু হয়ে থাকে।
প্রদেশটির তুলনামূলক ছোট জনপদ কিংইয়ুয়ানের জনসংখ্যা ৪০ লাখ। এখানকার বাসিন্দারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদেরই একজন হুয়াং জিংরাং। পরিবার নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন একটি ওভারপাসের নিচে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার ধানের জমি পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার সব ফসল শেষ।’
কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তারও হিসাব দেন হুয়াং। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমি কোনো খরচ ঘরে তুলতে পারব না। আমার ১১ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা কী করব। কোনো ক্ষতিপূরণ তো পাব না।’
সপ্তাহ শেষে হুয়াং নদীসহ জলাধারগুলো ফুলে-ফেঁপে ওঠে। উপচে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায় গুয়াংডং। বানের জল ভবনের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত পৌঁছেছে। তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে জমির ধান ও আলু।
কিংইয়ুয়ানের অন্যান্য অংশে বন্যাদুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় অনেকে ভবনের টপ ফ্লোরে অবস্থান করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লিন শিউঝেং বলেন, ২০২২ সালের আগে এখানে এখনকার মতো এত ভারী বৃষ্টি হতো না। বানের পানির উচ্চাতাও থাকত না তেমন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে চীনের আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন কখন কী হবে বলা মুশকিল হয়ে উঠেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে একই সঙ্গে প্রচণ্ড খরা এবং ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে।