× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভারতে লোকসভা নির্বাচন

যে কারণে ভোট পড়েনি নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায়

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৪ পিএম

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার এই ভোটে নাগাল্যান্ডের ছয় জেলা থেকে কেউ ভোট দেয়নি। ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। পূর্ব নাগাল্যান্ডের এই ছয় জেলা হচ্ছে কিফিরে, লংলেং, মোন, নকলাক, শামাটোর ও টুয়েনসাং। ছয় জেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৩২ জন। দেশটির একজন নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, এই ছয় জেলায় দুই-একজন হয়ত ভোট দিয়েছেন, কিন্তু শতাংশের হিসেবে তা শূন্য।

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভোটাররা ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশনের (ইএনপিও) ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। ইএনপিও আরও বেশি আর্থিক স্বায়ত্তশাসনসহ পৃথক প্রশাসনের দাবি করে আসছে। দাবি আদায় না হওয়ায় তারা স্থানীয়দের এই নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। ইএনপিওর কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছিল ছয় জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এমন পরিস্থিতিকে বেশ সংকটজনক মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য তারা প্রস্তুতও ছিল না বলে জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসনিক তাদের এমন কিছু ঘটতে পারে বলে কোনো তথ্য দেয়িন। কোনো ইঙ্গিতও ছিল না। আগে জানলে নির্বাচন কমিশন প্রচারণা চালাত বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিত। ছয় জেলার ভোটার ছাড়াই নাগাল্যান্ডে মোট ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পাশের বিহার রাজ্যে, ৫০.০৩ শতাংশ।

ঘটনার পর উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা ইএনপিওকে নোটিস দিয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন। নোটিসে তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১সি উপধারায় কেন ইএনপিওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় তা জানতে চেয়েছেন। ইএনপিও প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, জনগণ স্বেচ্ছায় ভোট বর্জনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইএনপিও বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ভোট ঠেকানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সুতরাং দণ্ডবিধির ১৭১সি উপধারায় কোনো পদক্ষেপ প্রযোজ্য নয়। ইএনপিও বিবৃতিতে বলেছে, যদি এখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, ইএনপিও নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে চায়। উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ ইএনপিওর ২০ জন বিধায়ক ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানে তারা লোকসভা নির্বাচন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করে বলে খবর রয়েছে।

এবার লোকসভার ৫৪৩ আসনে ভোট হচ্ছে সাত দফায়। শুক্রবার প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোট হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুনে ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুনে। এবার ভোট নেওয়া হচ্ছে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিনে। মোট ভোটার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ। ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ জুন।

নির্বাচনের প্রধান দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স) ও বিরোধী কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আইএনডিআইএ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)।

বলা হচ্ছে, ভারতের এই নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার আশা করছেন। তবে বিরোধীদলগুলো বলছে, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ভারতীয়রা অনেক বেশি স্বাধীনতা হারাতে পারে। 

২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) একাই ৩০৩টি আসন পেয়েছিল। আর বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটি অ্যালায়েন্স পেয়েছিল ৩৫২টি আসন।

এবারের নির্বাচনে মোদির অন্যতম চ্যালেঞ্জ বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। এই জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল ও প্রিয়াঙ্গা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সন্তান। কারাবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও এ জোটে আছে। সঙ্গে আছে আরও কিছু শক্তিশালী আঞ্চলিক দল।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সময় ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্কের কারণে বিশ্বে দেশটির অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। সম্প্রতি মোদি ভারতের ৮০ কোটি গরিবের জন্য একাধিক উদার কল্যাণমূলক কর্মসূচি চালু করেছেন। এর মধ্যে বিনা মূল্যে শস্য সরবরাহ ও কম আয়ের পরিবারের নারীদের মাসে এক হাজার ২৫০ রুপি ভাতা আছে।

কংগ্রেস তাদের ইশতেহারে বলেছে, ভারতে এখন বেকারত্বের হার অনেক। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। ইশতেহারে বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীদের ভাতা বৃদ্ধি ও কলেজ-উত্তীর্ণদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ‘স্বৈরাচারী’ মোদির পথ থেকে ভারতকে সরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কংগ্রেস।

সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, তারা প্রায়ই বৈষম্য ও হামলার শিকার হন। মোদির শাসনামলে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক অধিকার সংস্থা ফ্রিডম হাউজ বলেছে, বিজেপি সরকারের সমালোচনা করা ব্যক্তিদের, বিশেষ করে সাংবাদিকদের হয়রানি করার ঘটনা বাড়ছে। সংস্থাটি ভারতকে ‘আংশিকভাবে স্বাধীন’ হিসাবে শ্রেণিভুক্ত করে।

সূত্রে: এনডিটিভি

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা