তীব্র দাবদাহ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের তৃতীয় বার্ষিকীতে অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক স্টেট কাউন্সিলর বা প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে জেল থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। চলমান তীব্র দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে সামরিক কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সু চি ও মিন্টের পাশাপাশি কিছু বয়স্ক, অসুস্থ ও দুর্বল কয়েদিকেও নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তা ছাড়া দেশটির নববর্ষ ‘থিংইয়ান’ উপলক্ষে ৩ হাজার ৩০৩ জন কয়েদিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।
মেজর জেনারেল জাও মিন তুন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালে সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে সাজা হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়। বিভিন্ন অপরাধে রাজধানী নেপিদোর সামরিক আদালত তাকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তিনি রাজধানীর একটি কারাগারে রয়েছেন। এখন তাকে কোথায় গৃহবন্দি রাখা হচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নেপিদোর একটি সামরিক ঘাঁটিতে তাকে গৃহবন্দি রাখা হবে।
সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় প্রেসিডেন্ড মিন্টকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিক্ষোভ শুরু হয়। বর্তমানে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলাডি) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য সরকার জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে। তাদের সঙ্গে দেশটির পুরোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও যোগ দিয়েছে। কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন ও থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্যে জান্তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক যুদ্ধ করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। সেখানে সরকারি বাহিনী ব্যাপক মার খাচ্ছে। একের পর ঘাঁটি হারাচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা