চলতি বছরের প্রথম তিন মাস বা প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। খাতভিত্তিক হিসেবে, শিল্পোৎপাদন ও কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশ।
এনএসবি এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চীনের অর্থনীতি একটি ভালো সূচনা করেছে। যার ফলে নীতিগুলো কার্যকর হতে শুরু করেছে। উৎপাদন ও চাহিদা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে ও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মসংস্থান ও দাম ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। বাজারের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পরিসংখ্যানটি প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিন আগেই চীন জানিয়েছে, মার্চ মাসের রপ্তানি ও আমদানি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মার্চে রপ্তানি ও আমদানি যথাক্রমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লড়াই করে যাচ্ছে। গত মাসে বেইজিং ২০২৪ সালের জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এটি এমন একটি প্রবৃদ্ধির হার যা বেশিরভাগ উন্নত অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে তা দেশটির প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীরগতির সম্প্রসারণ।
কর্মকর্তারা চীনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বেশ কয়েকটি রাজস্ব ও মুদ্রানীতি ব্যবস্থা উন্মোচন করেছে। যার মধ্যে বড় বড় নির্মাণ ও অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।