প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২২ ১৪:৫৮ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২ ১৬:৪২ পিএম
বাঁয়ে সাইফ আল আদেল, ডানে আয়মান আল জাওয়াহিরি
আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির মৃত্যুর পর যে প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠেছে তা হলো-কে হতে যাচ্ছেন তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি। সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার সংগঠনটির দায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রাক্তন মিসরীয় সেনানায়ক সাইফ আল আদেল। যিনি বর্তমানে আল-কায়দার দ্বিতীয় ব্যক্তি। খবর আনন্দবাজারের।
ওসামা বিন লাদেনের জীবদ্দশায় জাওয়াহিরি ছিলেন সংগঠনটির দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি। লাদেনের মৃত্যুর পর এই শল্যচিকিৎসকের কাঁধে দেওয়া হয় সংগঠনের দায়িত্ব। সেই ঘটনাচক্রে জাওয়াহিরির উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে আদেলকে।
আদেল এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন। ১৯৯৮ সালে দার-উস-সালাম, তানজানিয়া এবং কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে এই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইজিপশিয়ান ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এফবিআইয়ের তথ্য মতে, আদেলের গায়ের রঙ জলপাই। চোখের মণির রঙ কালো। চুলের রঙও কালো। সংস্থাটির দাবি, তাদের কাছে আদেলের পুরনো ছবি রয়েছে। তারা বলছে, এ মুহূর্তে আদেল ইরানে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই সংগঠনের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন তিনি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ রিতা কাটজের মতে, ইরানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সিরিয়ায় রয়েছেন আদেল। সংগঠনের কাজে একসময় মিসর ছাড়াও আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সুদান ও সোমালিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন আদেল। সংগঠনে নবীনদের প্রশিক্ষণও দিতেন তিনি।
অনেকে মনে করেন, লাদেনের ৯/১১ হামলার বিরুদ্ধে ছিলেন আদেল।
আল-কায়দার এই সন্ধিক্ষণে আদেল ছাড়াও অনেকের নাম উঠে আসছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আদব আল রহমান মাঘরিবি, ইয়াসিন আল সুরি এবং আবু আবদুল করিম আল খোরসারির মতো নেতারা।
এদের মধ্যে আল মাঘরিবির মাথার দাম ৫৫ কোটি টাকা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাঁধেও এ সংগঠনের দায়িত্ব বর্তাতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
আল-কায়দার ছোট থেকে বড় সব উত্থান-পতনের দিকে কড়া নজর রাখে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার অর্থ হলো ‘কাঁটার মুকুট’ মাথায় তোলা। এ ছাড়া আইএসআইসের মতো সংগঠনের সঙ্গে তীব্র সংঘাতের আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে এ সংগঠনে নেতৃত্ব সংকট তৈরি হয়েছে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকায় বহু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, যারা আল-কায়দার মতো সন্ত্রাসবাদকে ‘আন্তর্জাতিক’ পর্যায়ে নিয়ে যেতে নারাজ। বরং তারা অর্থ ও সময় খরচ করে স্থানীয় ইস্যুতে।