সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৬ পিএম
তেহরানে আল কুদস দিবসে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
আল কুদস দিবসে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার ইন চিফ হোসেইন সালামি। তবে এই দিবসের পরপর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ইরানের রাজধানী তেহরানে দিবসটি উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সমাবেশে অংশগ্রহণকারী হাজারো মানুষ ‘ডেথ অব আমেরিকা’ এবং ‘ডেথ আব ইসরাইল’ বলে স্লোগান দেন।
সমাবেশে হোসাইন সালামি বলেন, আমরা আমাদের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শত্রুর বিরুদ্ধে কোনো জবাব এ দিবসের সঙ্গে সঙ্গে দেব না।
গাজা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গাজা যুদ্ধে পরাজয় ছাড়া আর কিছুর সম্মুখীন হচ্ছে না। ইসরাইল তার পরও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছ থেকে আসা এক ক্ষুদে বার্তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা গাজায় ইহুদিবাদী শাসককে কবর দেব।’
তিনি আরও বলেন, জায়োনিস্ট এবং তাদের আমেরিকান মদদদাতারা বিশ্বাস করে, তারা যত বেশি মুসলমানকে হত্যা করবে, তাদের অবরোধ ও বাস্তুচ্যুত করবে, তাদের জীবন তত উন্নত হবে। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তার বিপরীত।
টেলিভিশনে দেখা হয়, সমাবেশ শেষে ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং কুদস ফোর্সের নেতা ইসমাইল কানিসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিচার বিভাগ, সামরিক কর্মকর্তারা তেহরান শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাঁটছেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। গত ১ এপ্রিল রাতের এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১১ জন। তাদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের দুই কমান্ডার রয়েছেন। নিহতদের সবাই যোদ্ধা ছিলেন।
আল-কুদস দিবসে বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।