প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৭ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের আবেদনকে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টি ‘সরাসরি আলোচনার’ মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়া উচিত, জাতিসংঘে নয়।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে অ-সদস্য পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশ। এর মধ্যে প্রায় ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০১১ সালে সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর ২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে দূত নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। এখন তারা সংস্থাটির নানা সভায় অংশ নিতে পারলেও ভোট দিতে পারে না।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থাটিতে নিয়োজিত ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর।
জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে মনসুর লেখেন, ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আমরা সদস্য হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আবেদন করি। আমাদের নথি নম্বর এস/২০১১/৫৯২। চলতি এপ্রিলে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমাদের সদস্যপদ নিয়ে নতুন করে আলোচনা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
ফিলিস্তিনি দূত জাতিংঘের মহাসচিবকে বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের আবেদনের কাগজপত্র নিরাপত্তা পরিষদের কাছে যতদ্রুত সম্ভব পাঠান, আমরা বেশি কৃতজ্ঞ থাকব।’
জাতিসংঘের চার্টার মতে, সদস্য হওয়ার জন্য প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতি লাগে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সম্মতির পর নতুন সদস্য হওয়ার আবেদনটি সাধারণ পরিষদে যায়। সেখানে পাস হলে কোনো দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সদস্য হতে পারে।
সূত্র : আলজাজিরা