প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১১ পিএম
লু কন্টার। ছবি : সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে হামলার সময় ডুবে যাওয়া যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস অ্যারিজোনার বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে সর্বশেষ জীবিত ব্যক্তি ছিলেন লু কন্টার। সোমবার (১ এপ্রিল) ১০২ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন।
প্যাসিফিক হিস্টোরিক পার্কস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের গ্রাস ভ্যালিতে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কন্টারের মেয়ে লুয়ান ডেলি জানিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই সৈনিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন।’
প্যাসিফিক হিস্টোরিক পার্কস ইউএসএস অ্যারিজোনা মেমোরিয়াল ও অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি নেতৃস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সেদিন অ্যারিজোনার মোট ১ হাজার ১৭৭ জন ক্রু নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই এখনো ইউএসএস অ্যারিজোনা মেমোরিয়ালে খোদাই করা জাহাজে সমাধিস্থ রয়েছেন। পার্ল হারবারের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া অ্যারিজোনার ৩৩৫ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে কন্টার ছিলেন একজন। তিনি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচেছেন।’
পার্ল হারবারে হামলার সময় কন্টারের বয়স ছিল ২০। তিনি একজন কোয়ার্টারমাস্টার ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে পার্ল হারবারে জাপানি আক্রমণের সময় সহকর্মী ক্রুদের উদ্ধার করতে সহায়তা করেছিলেন।
পার্ল হারবার আক্রমণের পরেও কন্টারের সামরিক পরিষেবা অব্যাহত ছিল। তিনি ভিপি -১১ ব্ল্যাক ক্যাট পাইলট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুটি শ্যুট-ডাউন থেকে বেঁচে যান তিনি। যার মধ্যে একটি ছিল নিউ গিনির উপকূলে। সেখানে ক্রুরা হাঙ্গর দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
প্যাসিফিক হিস্টোরিক পার্কের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আইলিন উটারডাইক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি একটি হৃদয়বিদারক ক্ষতি। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে কন্টারের একটি অনুকরণীয় ক্যারিয়ার ছিল।’
সূত্র : সিনহুয়া