প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১৮ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৬ পিএম
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের গাড়ির ধ্বংসাবশেষ। গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে গাড়ি চালানোর সময় তাদের ওপর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ডব্লিউসিকের নিহত সাত ত্রাণকর্মীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক বা ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিক রয়েছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ বহনকারী জাহাজ গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন তারা। তাই তারা সমুদ্রবন্দর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ নিজ দেশের নিহত ত্রাণকর্মীর নাম জোমি ফ্রাঙ্ককম বলে উল্লেখ করেছেন। জোমির মৃত্যুকে 'পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে ইসরায়েলের কাছে ‘পূর্ণ জবাবদিহি’ চেয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন।
ডব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা স্প্যানিশ-আমেরিকান শেফ জোসে আন্দ্রেস বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন বোন ও ভাইকে হারিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) গাজায় ত্রাণকর্মীদের হত্যার ‘দ্রুত’ তদন্ত করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এনএসসির মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, ‘মানবিক সহায়তাকর্মীদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে, কারণ তারা নিদারুণভাবে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করছে।’
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বোঝার জন্য তারা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করছে।
ডব্লিউসিকে একটি অলাভজনক, বেসরকারি সংস্থা। যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত এলাকায় খাবার সরবরাহের জন্য নিবেদিত। ডব্লিউসিকে-এর কর্মীরা গাজায় যারা মারাত্মক খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে তাদের মানবিক সহায়তা বিতরণে সহায়তা করে।
সূত্র : আলজাজিরা, সিনহুয়া