প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২১ এএম
বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সমর্থকদের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কে রবিবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) ভরাডুবি হয়েছে। রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল, ইজমিরসহ দেশটির প্রধান শহরগুলোয় বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থীরাই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ইস্তাম্বুলে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সিএইপি পার্টির একরেম ইমামোগলু।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে এক বিজয়ী ভাষণে ইমামোগলু বলেন, ‘১০ লাখের বেশি ভোটে আমরা জিতেছি। ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধীদের জন্য আজ রাতে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। যারা এ বার্তা বুঝতে ব্যর্থ তাদের পরাজয় অবধারিত।’
ইস্তাম্বুলে মেয়র পদে একে পার্টির প্রার্থীর টানা দ্বিতীয়বার পরাজয় এরদোয়ানের জন্য বড় ধাক্কা। এ শহরেই এরদোয়ানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি শহরটির মেয়র ছিলেন।
এদিকে রাজধানী আঙ্কারায় একে পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সিএইচপির মেয়র মনসুর ইয়াভাস।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরেও সিএইচপির প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
রবিবার তুরস্কের সব প্রদেশে আঞ্চলিক নির্বাচন হয়েছে। মেয়র পদের পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিষদ ও আরও কিছু বিভাগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ভোটার ছিল প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ। ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টি শহরে মেয়র হওয়ার পথে রয়েছে বিরোধী সিএইচপি।
এবারের আঞ্চলিক নির্বাচনে পশ্চিম তুরস্কের পাশাপাশি রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত প্রদেশেও সিএইচপি ভালো করেছে। বিশেষ করে, কৃষ্ণ সাগর ও মধ্য আনাতোলিয়া অঞ্চলে একে পার্টির হার বিশেষভাবে লক্ষ করার মতো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইস্তাম্বুলভিত্তিক ইড্যাম থিঙ্কট্যাঙ্কের পরিচালক সিনান উলগেন বলেন, ‘ভোটাররা এবার শাসকদের শাস্তি দিয়েছেন। বিশেষ করে, ব্যালটের মাধ্যমে তারা অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
হার মেনে নিয়ে রবিবার রাতে দেওয়া বক্তৃতায় নিজেদের ভুল-ক্রটি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোয়ান।
২০০২ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান বলেন, ‘বুঝতে পারছি আমাদের পার্টির জোয়ারে ভাটা পড়েছে। আমাদের দুর্বলতাগুলো খতিয়ে বের করে তা মেরামত করতে হবে।’
সূত্র : আলজাজিরা, গার্ডিয়ান