প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৪ পিএম
ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার হোমস শহরে। ছবি : সংগৃহতি
সিরিয়ার আলেপ্পো অঞ্চলে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহের পাঁচ সদস্য রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে এক বিবৃতিতে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলা ও হতাহতের কথা নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আলেপ্পোর গ্রামাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলার পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরাও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ঠিক কাদের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা সুনির্দিষ্ট করেনি।
তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়া অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, আলেপ্পোতে হিজবুল্লাহের একটি অস্ত্র ঘাঁটির কাছে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে সিরিয়ার অন্তত ৩৬ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়ায় বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে দেশটিতে আগে থেকেই নিয়মিত বিমান হামলা চালাতো ইসরায়েল।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়ে সেখানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হিজবুল্লাহ। আসাদের পক্ষ হয়ে দেশটিতে রাশিয়া ও ইরানের সেনারাও যুদ্ধ করে। হিজবুল্লাহ ইরানের সহায়তাপুষ্ট লেবানের একটি সশস্ত্র সংগঠন।
অন্যদিকে বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে বাশার বাহিনী ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। তাছাড়া সিরিয়ার ইদলিবে কুর্দিদের ওপর মাঝে-মধ্যেই বিমান হামলা চালায় তুরস্ক। অথচ সিরিয়ার কুর্দিদের সঙ্গে সেখানে একসঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
মধ্যপ্রাচ্যের এক সময়কার অন্যতম শক্তিশালী দেশ সিরিয়া গত কয়েক বছরে গৃহযুদ্ধ কিছুটা কাটিয়ে ওঠেছে। আসাদ বাহিনীর হারানো অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স