থমথমে উত্তর প্রদেশ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:০৪ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫২ পিএম
মুখতার আনসারি। ২০২২ সালে জেল থেকে আদালতে নেওয়ার পথে। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তর প্রদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরিবার খাবারে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ এনে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার একটি কারাগারে অজ্ঞান হয়ে পড়েন আনসারি। তাকে সঙ্গে সঙ্গে পাশের রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। নয়জন ডাক্তারের একটি দল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়। তা সত্ত্বেও হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়।
মুখতার আনসারির ছেলে ওমর আনসারি তার বাবাকে খাবারে বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে আমি আমার বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আগের মতো আজও আমি অভিযোগ করছি, তাকে ধীরে ধীরে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ দুপুরের খাবারে তাকে দ্বিতীয়বার বিষ প্রয়োগ করা হয়। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আইনের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
২১ মার্চ উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার একটি আদালতকে আনসারি বলেন, জেলের খাবার খাওয়ার পর আমার শরীর খারাপ হতে শুরু করেছে। খাবারে আমাকে বিষ দেওয়া হচ্ছে। খাবার খেয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ৪০ দিন আগেও আমাকে একবার বিষমিশ্রিত খাবার দেওয়া হয়েছিল।’
শনিবার তার বাবার পোস্টমর্টেম হবে বলেও জানান ওমর আনসারি। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে শুক্রবার (২৯ মার্চ) পাঁচজন ডাক্তারের একটি দল মুখতার আনসারির পোস্টমর্টেম করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুখতার আনসারির মৃত্যুর পর উত্তর প্রদেশের রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজ এলাকা, মাউ, বারাণসী ও গাজিপুর শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুখতার আনসারির বিরুদ্ধে ৬৫টি মামলা ছিল। মাউ শহরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মামলায় ২০০৫ সালে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তখন থেকেই জেলে ছিলেন।
১৪ মার্চ অবৈধ অস্ত্র রাখার ৩৪ বছরের একটি পুরোনো মামলায় মুখতার আনসারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ মাসে এ নিয়ে সাতটি মামলায় আনসারির সাজা হয়।
উত্তর প্রদেশের মাউ সদর থেকে মুখতার আনসারি পাঁচবার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্র : এনডিটিভি, স্ত্রলডনইন