সৌদির প্রথম সুন্দরী প্রতিযোগী রুমি
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ০১:০৫ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪০ পিএম
রুমি আল-কাহতানি। ছবি : সংগৃহীত
‘রক্ষণশীল’ মুসলিম দেশ সৌদি আরব থেকে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন এক তরুণী। বিষয়টি সামনে আসার পর সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে। গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম। ২৭ বছরের ওই তরুণীর নাম রুমি আল-কাহতানি। তিনি দেশটির রিয়াদের বাসিন্দা। সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তিনি আরব দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে এসব তথ্য সামনে এনেছেন এই প্রতিযোগী।
পোস্টে তিনি লেখেন, মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এ প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের এটিই প্রথম অংশগ্রহণ।
কে এই রুমি আল-কাহতানি
সৌদি আরবের নারীদের ম্যাগাজিন ‘লাহা’ জানিয়েছে, রিয়াদের বাসিন্দা রুমি দন্তচিকিৎসায় ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি আরবি, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন।
কাহতানিকে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞ নারী হিসেবে উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল মনিটর জানিয়েছে, কাহতানি মিস মিডল ইস্ট এবং মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস খেতাব অর্জন করেছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালে মিস সৌদি আরবের মুকুট পাওয়ার পর থেকে তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা জিতেছেন। তার ইনস্টাগ্রামে সক্রিয়ভাবে ১ মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে।
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, রুমি সৌদি আরবের রিয়াদের বাসিন্দা। তিনি ক্যামেরার সামনে পরিচিত মুখ। এর আগেও তিনি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মিস, মিসেস গ্লোবাল এশিয়ানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৭ সালের জুনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মুহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০-এর অধীনে বেশ কিছু উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে রক্ষণশীল মুসলিম সমাজের আধুনিকীকরণ, তেলভিত্তিক অর্থনীতির সংস্কার ও ডিজিটাল রূপান্তরের চেষ্টা রয়েছে।
লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়নে ২০১৮ সালের জুনে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি। ওই বছরের এপ্রিলে নারীদের একটি কনসার্টে যোগ দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়। এটি ছিল দেশটিতে প্রথম নারী-পুরুষের মিশ্র ইভেন্ট। পরের বছর ২০১৯ সালে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় সৌদি সরকার। আইন করে নারীদের একক ভ্রমণ ও পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সৌদ।
এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সৌদি আরবকে জাতিসংঘের নারী অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।