প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৩:১১ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৯ পিএম
সোমবার রাত দেড়টায় একটি কনটেইনারবাহী জাহাজের ধাক্কায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড রাজ্যের বাল্টিমোর শহরের ‘ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ’ ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিখোঁজ ছয় ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ মার্চ) রাত দেড়টায় একটি কনটেইনারবাহী জাহাজের ধাক্কায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোস্ট গার্ড মঙ্গলবার রাতে জানায়, নিখোঁজ ছয়ব্যক্তি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার একজনের অবস্থা গুরুতর।
বাল্টিমোরে পাতাপস্কো নদীর ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৬ কিলোমিটার। সোমবার রাতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি কনটেইনার জাহাজ ব্রিজটির একটি স্প্যান বা খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ব্রিজটি ধসে পড়ে।
জাহাজটি ধাক্কা খাওয়ার আগে বিপদসংকেত দিয়েছিল বলে জানা গেছে। কনটেইনারবাহী জাহাজটিতে জ্বালানি সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে দুটি নজরদারি প্রতিষ্ঠান ‘ডালি’ জাহাজটিকে চলাচলের উপযোগী বলে ছাড়াপত্র দিয়েছিল বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের দুটি স্প্যানের মধ্যবর্তী দূরত্ব অনেক বেশি। বিশ্বে দুই স্প্যানের মধ্যবর্তী জায়গার দূরত্ব বেশি হওয়ার দিক থেকে ব্রিজটি তৃতীয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার রাতে ঘটনার পরপর স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ‘রাত দেড়টার দিকে জাহাজটি সেতুতে ধাক্কা খায়। এতে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে আগুন ধরে যায়। এর ফলে একাধিক গাড়ি পানিতে পড়ে যায়।’
ম্যারিল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি সমাজমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আই-৬৯৫ কি ব্রিজের ঘটনার জন্য সব লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
বাল্টিমোরের মেয়র জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
বাল্টিমোর ফায়ার ডিপার্টমেন্টের যোগাযোগ পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, জরুরি বিভাগের কর্মীরা পানিতে পড়ে যাওয়া অন্তত সাতজনকে খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে ৯১১ নম্বরে কল আসে। তারা খবর পায় বাল্টিমোর থেকে বহির্গামী একটি জাহাজ ব্রিজের একটি কলামে ধাক্কা খেয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় ব্রিজের ওপর একাধিক যানবাহন ছিল।’
কার্টরাইট আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার। কতজন দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি।’ তবে একে তিনি ‘ক্রমবর্ধমান গণহতাহতের ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন।