প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৩ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৫১ পিএম
ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও জরুরি বিভাগের ডাক্তার। শনিবার মস্কোর পশ্চিম উপকণ্ঠ ক্রাসনোগর্স্ক শহরের ক্রোকাস সিটি হলের পাশে। ছবি : সংগৃহীত
মস্কোর উপকণ্ঠে শুক্রবার রাতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩। তা ছাড়া ১২১ জন আহতের মধ্যে ১০৭ জন এখনও হাসপাতালে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ান শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চার অস্ত্রধারীসহ সন্দেহভাজন ১১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ (এফএসবি)। হতাহতের সংখ্যা সর্বোচ্চসংখ্যক বাড়ানোর কথা মাথায় রেখেই হামলার নকশা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা সংস্থাটি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর পশ্চিম উপকণ্ঠ ক্রাসনোগর্স্ক শহরের ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টের আয়োজন করে দেশটির ‘পিকনিক’ নামের একটি রক ব্যান্ড। কনসার্ট শুরুর আগে সেখানে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। হলটির ধারণা ক্ষমতা ছিল ৭ হাজার ৫০০। হামলার সময় হলটি প্রায় পূর্ণ ছিল।
এফএসবি বলছে, হামলায় বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে চালানো হয়েছে এলোপাতাড়ি গুলি।
শুক্রবার রাতেই সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড ল্যাভান্ট (আইএসআইএস), যা সংক্ষেপে আইএস নামে পরিচিত। কিন্তু রাশিয়া আইএসের দাবি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তারা সন্দেহের তীর ছুটছে ইউক্রেনের দিকে।
গ্রেপ্তার চার বন্দুকধারীকে ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে ব্রায়ানস্ক অঞ্চল থেকেই ধরা হয়েছে। কিন্তু মস্কো হামলার সঙ্গে নিজেদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছে ইউক্রেন।
হামলার পরের দিন শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে গ্রেপ্তার এক বন্দুকধারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তি করে। তাকে ৫ হাজার ৪০০ ডলার দিয়ে ভাড়া করা হয়। কনসার্ট হলের ঠিক কোন জায়গায় হামলা চালাতে হবে, তা তাকে সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়েছিল। তাকে অস্ত্রও সরবরাহ করা হয়েছিল।
শুক্রবারের হামলার আগে চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ায় নিজ দেশের নাগরিকদের জনপরিস এড়িয়ে চলতে সতর্কতা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসীরা রাশিয়ায় হামলার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা করেছিল দেশটি। তবে হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানান, শুক্রবারের হামলা নিয়ে তাদের হাতে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য ছিল না।
আধুনিক রাশিয়ার ইতিহাসে এত বড় সন্ত্রাসী হামলা এটাই প্রথম। এটি দেশটির গোয়েন্দা দুর্বলতার বড় নজির হয়ে থাকবে।
সূত্র : আরটি, সিনহুয়া