প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ১৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে নৌকাডুবির পর ৬৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উপুড় হয়ে ভাসতে থাকা নৌকাটির বাকি আরোহী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগ পুরুষ। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু। নিখোঁজ ব্যক্তি ও সহিংসতার শিকার মানুষদের নিয়ে কাজ করা ইন্দোনেশিয়ার কমিশন (কন্ট্রাএস আচেহ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, যাদের উদ্ধার করে বন্দরে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৯ জন শিশু।
নৌকাটি ডুবে যাওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ হয়ে মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা যেসব কাঠের নৌকায় এই ভয়ংকর যাত্রা করে, মানুষে ঠাসা সেসব নৌকার অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। ২০২৩ সালের আগস্টে বঙ্গোপসাগরে এমন একটি নৌকা ডুবে ১৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রত্যাশী মারা যায়।
ইন্দোনেশিয়ার কন্ট্রাএস কমিশন জানিয়েছে, গত বুধবার সকালে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে আচেহের পশ্চিম উপকূলে কুয়ালা বুবনের সৈকত থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসতে থাকা নৌকাটি ডুবে যায়। এই নৌকার চারজন নারী, দুই পুরুষকে উদ্ধার করে আচেনিজ জেলেরা উদ্ধার করে একটি আশ্রয়ে নিয়ে যায়। যেখানে তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ফয়সাল রহমানের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। রহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে, অনেকেই ডুবে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অনেকে মারা গেছে। তাদের অনুমান- কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছে। ধারণা করা হয়, যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। তারা হয়তো সাঁতার কাটতে পারত না এবং স্রোতের কবলে পড়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে।’
ঘটনাস্থলে স্থানীয় জেলেদের শট করা অপেশাদার ফুটেজ, যা ইন্দোনেশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা নৌকার উল্টে যাওয়া হুলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তারা সবাই পুরুষ বলে মনে হয়েছিল। তারা জেলেদের দিকে হাত নেড়ে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছিল।
কুয়ালা বুবনে অবস্থিত আচেহ বারাত জেলার জেলে সম্প্রদায়ের নেতা আমিরুদ্দিন বলেছেন, বুধবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা থেকে একটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানো হয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা