প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১২:১৬ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১২:৩১ পিএম
বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীরা সবচেয়ে সুখী। প্রবা ফটো
বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের সাধারণ অবস্থান গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১১ ধাপ পিছিয়ে ১২৯তম অবস্থানে নেমে এসেছে। এবার বাংলাদেশের স্কোর ৩ পয়েন্ট ৮৮৬। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় টানা সপ্তমবারের মতো শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৭ পয়েন্ট ৭৪১। আর ১ পয়েন্ট ৭২১ স্কোর নিয়ে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ ২০-এ নেই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলবিং রিসার্চ সেন্টার, গ্যালাপ এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক যৌথভাবে তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ বছর বয়সিদের সুখী হওয়ার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম। ৬০ বছর বা তারও বেশি বয়সিদের ক্যাটাগরিতে সুখী দেশের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০। এ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের একধাপ নিচে রয়েছে ভারত। মিয়ানমার ১০২ নম্বরে। পাকিস্তান ১২২ নম্বরে।
নিম্ন মধ্যবয়সিদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯। উচ্চ মধ্যবয়সিদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীরা সবচেয়ে সুখী। সবচেয়ে কম সুখী উচ্চ মধ্যবয়সিরা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই ২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ ও ভালো থাকার বিষয়টিতে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি।
প্রতিবছর এ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তখন থেকে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি নেই বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ২০টি দেশের ভিতরে। এবার দেশ দুটির যথাক্রমে অবস্থান ২৩ ও ২৪। পক্ষান্তরে শীর্ষ ২০ সুখী দেশের মধ্যে উঠে এসেছে কোস্টারিকা ও কুয়েত। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ১২ ও ১৩।
বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় ভারতের সাধারণ অবস্থান ১২৬তম, স্কোর ৪ পয়েন্ট ০৫৪। ২০২৩ সালেও ভারত একই অবস্থানে ছিল। বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমার ৪ পয়েন্ট ৩৫৪ স্কোর নিয়ে ১১৮তম অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। ৪ পয়েন্ট ৬৫৭ স্কোর নিয়ে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
নরডিক দেশগুলো সবচেয়ে সুখী ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান ধরে রেখেছে। এর মধ্যে ফিনল্যান্ডের পর আছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরোনো প্রজন্মের তুলনায় নতুন প্রজন্ম কম সুখী। এ প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মধ্যবয়সিদের মতো সংকট বাড়ছে। কারণ তরুণ প্রজন্মকে জীবিকার জন্য আগের যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় বেশি সংগ্রাম করতে হচ্ছে।