প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৫০ এএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২২ ১১:২২ এএম
ইমরান খানকে অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয় তার বাসভবনে। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে অবশেষে এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন) করেছে পুলিশ।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে সন্ত্রাসবিরোধী ও দণ্ডবিধির ধারায় এফআইআর করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমির শাহজাদ।
এর আগে পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান ফয়সাল শাহকারকে ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পাঞ্জাবের মহাপরিদর্শক (আইজি) ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে লাহোর থেকে শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন।
পুলিশপ্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘এফআইআর কখন নথিভুক্ত করা হবে তা বলুন? এফআইআর নথিভুক্ত না করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কারণ থাকা উচিত। এটি ছাড়া তদন্ত কীভাবে শুরু হবে?’
সিজেপি বান্দিয়াল তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আক্রমণের ৯০ ঘণ্টা হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি!
আইজি শাহকার আদালতকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এফআইআর নিবন্ধনের বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি কিছু জায়গায় আপত্তি প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআরও নথিভুক্ত করা উচিত।
তখন সিজেপি মন্তব্য করেন, ‘ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা এবং বিচার প্রদান আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
সিজেপি আইজিকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কাজ করুন, আদালত আপনার সঙ্গে আছে। সিজেপি তখন শাহকারকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন, তাকে আশ্বস্ত করেন যে তার কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। কেউ হস্তক্ষেপ করলে আদালত তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে।’
এফআইআর নথিভুক্ত না হলে স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সিজেপি বলেন, ‘আইজি সাহেব, আপনি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিসে জবাবদিহি করবেন।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৩০২, ৩০৪ ও ৪৪০ ধারা এবং দণ্ডবিধি অনুসারে এফআইআর করে প্রাদেশিক পুলিশ। এতে আটক সন্দেহভাজন নাভিদকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরকে অভিযুক্ত করেছেন। তবে এ এফআইআরে তাদের কারও নাম নেই।
পিটিআই নেতা জুবায়ের খান নিয়াজির করা মামলার আবেদনে সরকার ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিদের নাম দেওয়া হয়েছে।
৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে দলের লংমার্চের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পিটিআইপ্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় একজন পিটিআই সমর্থক মুয়াজ্জাম নওয়াজ নিহত হন এবং ইমরানসহ ১৪ জন আহত হন।