প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৮:২১ এএম
মিয়ানমারের কিয়াউকফিউ টাউনশিপের একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের প্রায় ৮০টি টাউনশিপ বা প্রশাসনিক ইউনিটে ইন্টারনেট ও ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দেশটির মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক সংগঠন আথান এ তথ্য জানিয়েছে।
আথানের তথ্যমতে, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপেই ইন্টানেট ও ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সাগাইং অঞ্চলের ৩৪টি টাউনশিপের মধ্যে ২৭টি ও কায়াহ রাজ্যের সাতটি টাউনশিপের মধ্যে পাঁচটির ইন্টানেট ও ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। শান, চিন, কাচিন ও মোন রাজ্যের অনেক টাউনশিপ এবং তানিনথারি, ম্যাগওয়ে, বাগো ও আইয়ারওয়াদি অঞ্চলগুলোর অনেক টাউনশিপেও একই অবস্থা।
বেশিরভাগ টাউনশিপের ফোন ও ইন্টারনেট উভয় সংযোগই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও কিছু জায়গায় শুধু মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় ইন্টারনেট শ্লথ করে দেওয়া হয়েছে।
আরাকান আর্মি (এএ) গত বছরের নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্যজুড়ে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। তারা এখন পযর্ন্ত প্রায় ১৮০টি জান্তা ঘাঁটি, নয়টি শহর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় চীন রাজ্যের পুরো পালেতওয়া টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে।
আথান বলেছে, রাখাইনের রাজধানী সিতওয়েতে জান্তার মালিকানাধীন টেলিকম সরবরাহকারী মাইটেল ১৬ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত কাজ করে। এরপর থেকে সেখানে ওয়াই-ফাই ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু রাখাইনের দুজন বাসিন্দা বলেছে, ‘রাজধানী সিতওয়েতে জান্তা মালিকাধীন টেলিকম অপারেশন মাইটেল ও এমপিটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কাজ করেছে।’ আর একজন বাসিন্দা জানায়, কিছু এলাকায় টেলিফোন সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হলেও কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
আথান আরও জানায়, রাখাইন রাজ্যে ব্যাংকিং সেবা ও অনলাইন আর্থিক স্থানান্তর বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারবিরোধী শক্তিকে দমন করার কৌশল হিসেবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে জান্তা সরকার। তথ্যের প্রবাহ গোপন করতে ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্র ছিন্ন করতে সামরিক জান্তা ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে দমন করছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ফ্রিডম হাউসের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেট স্বাধীনতার দিক থেকে চীনের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার।
সূত্র : ইরাবতী