প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৩ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৩ এএম
এক ত্রাণকর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ইউএনআরডব্লিউএ’র একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। ১৩ মার্চ রাফায়। ছবি : সংগৃহীত
গাজা সিটির কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণ সহায়তা নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ছয়জন। আহত হয়েছে আরও ৮৩ জন।
এর আগে গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় জাতিসংঘের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় সংস্থাটির এক কর্মীসহ আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২২ জন।
ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) কেন্দ্রটিতে ইসরায়েলের সেনাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছিল। তাই হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আহত ৮৩ ফিলিস্তিনিকে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব হামলার কথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির কুয়েত গোলচত্বরে হামলা জোরদার করেছে। আর এটা এমন একটি জায়গা যেখানে অনেক ফিলিস্তিনি ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করতে জড়ো হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে এ গোলচত্বরে খাদ্যসহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে ১১ জনকে হত্যা করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩১ হাজার ২৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার ৩০০ শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩ শিশুসহ ৭৩ হাজার ২৪ জন আহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা