× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মমতার হুঁশিয়ারি- পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর হবে না

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৬ পিএম

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ফটো

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ফটো

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের প্রতিবাদে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এ আইন কার্যকর হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করে দিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব পেতে চাওয়া ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। তবে মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে এই আইন তিনি বাস্তবায়িত হতে দেবেন না।

সিএএ বাস্তবায়নের ঘোষণার পর সোমবার রাতেই আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ হয়। মঙ্গলবার আসামের উত্তরপূর্ব শিবসাগর জেলায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে। শিবসাগর জেলা ছাত্র সংসদ (এসডিএসইউ) আয়োজিত সমাবেশে পুলিশ বাধা দিতে গেলে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ছাত্র-যুব পরিষদের মুখপাত্র পলাশ চাংমাই স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিএএ-বিরোধী আন্দোলন চলবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই আন্দোলন থেকে সরে আসব না।’

এদিকে মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ার বাণীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে সিএএর বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানান মমতা।

লোকসভা ভোটের তফসিল ঘোষণার আগেই গত সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিএএ কার্যকর করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত চার বছর নিয়ম করে ওই আইনের নিয়মবিধি তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সময় বাড়িয়ে আসছিল।

২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকার এ আইন পাস করেছিল। আইনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ও পার্সিধর্মীয় সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে ভারতে চলে এসেছেন, এ আইনে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আইনটি সারা দেশে চালু হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করার ফলে মঙ্গলবার থেকেই ওই তিন দেশ থেকে ভারতে আসা বাসিন্দারা নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এ আইন ছুড়ে ফেলে দিন। এ আইন বিজেপির, বাংলা ভাগ করার। বাঙালিদের দেশ থেকে তাড়ানোর এক অভিসন্ধি। আমরা মানি না, মানছি না এই আইন।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই আইন ধর্মবিদ্বেষকে, বর্ণবিদ্বেষকে উস্কে দেবে। মমতা বলেন, ‘ওরা বাঙালিদের সহ্য করতে পারে না, বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ তৈরির জন্য এই আইন এনেছে।’

বিজেপির নাম নিয়ে মমতা বলেন, ‘ওরা এক ভয়ানক দল। কুৎসিত দল। ওরা আসলে হিন্দুদের মানে না। ওরা রামকৃষ্ণ, সারদা মা, পঞ্চানন বর্মা, মতুয়া ঠাকুরদের মানে না। আমাদের এই বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চায় ওরা। শুধু পারে না আমার সঙ্গে। ওরা আমাকে লাঠি দেখালে আমি ডান্ডা দেখাব।’

মমতা জোরের সঙ্গে বলেন, ‘এটা বিজেপির লুডো খেলার ছক। বিজেপি চাইছে এ নিয়ে বাংলায় অশান্তি তৈরি করতে। আমরা এই বাংলায় সেই সুযোগও দেব না।’

সিএএর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার দৃঢ় অবস্থান থাকলেও এই আইন কার্যকর হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া বইছে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে। মতুয়াদের কেন্দ্রীয় তীর্থক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরে চলছে খুশির জোয়ার।

সম্প্রতি মতুয়া সম্প্রদায়রের প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঘোষণা দেন, লোকসভা নির্বাচনের এক দিন আগে হলেও এই আইন কার্যকর হবে ভারতজুড়ে। তবে এই আইন কার্যকর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরনগরের মতুয়া নেত্রী ও তৃণমূল সংসদ সদস্য মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, এটা বিজেপির রাজনৈতিক খেলা। ভোটের খেলা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা