প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৫ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪০ পিএম
বাটিক এয়ারের এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের একটি বিমান । ছবি: সংগৃহীত
উড্ডয়নের আধাঘণ্টার মধ্যে প্রচণ্ড ঘুমে চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে পাইলটের। সহকারী পাইলটকে বিমান পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বিশ্রামে যান তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়েন সহকারীও। এভাবে মধ্য আকাশে কেটে যায় ২৮ মিনিট। এই সময়ে গতিপথ থেকে কিছুটা বিচ্যুত হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে জাকার্তামুখী বিমানটি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি বা প্রাণহানি ছাড়াই নিরাপদে সেটি নেমেছে ভূমিতে।
গেল ২৫ জানুয়ারির এ ঘটনায় বাটিক এয়ারের ওই দুই পাইলটকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে কাজ করছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার (১১ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য ভূমিষ্ঠ দুই যমজ সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল পাইলটদের একজন।
২৫ জানুয়ারি বাতিক এয়ারের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি সুলাওয়েসি থেকে দেশটির রাজধানী জাকার্তায় যাওয়ার পথে এ ঘটনাটি ঘটে। বিমানটিতে ১৫৩ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যরা ছিলেন। তাদের কারো কোনও ক্ষতি হয়নি।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩২ বছরের পইলট বিমানটি উড্ডয়নের আধা ঘণ্টা পর তার কো-পাইলটকে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিতে বলেন। তাকে বিশ্রাম দিতে রাজি হন ২৮ বছর বয়সী কো-পাইলট। কিন্তু অসাবধানতাবশত তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন।
বিমানটিতে ১৫৩ জন যাত্রী ছিল। জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বারবার বাটিক এয়ার এ৩২০-এর ককপিটে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সেখান থেকে কোনো সাড়া পায়নি। ২৮ মিনিট পর যখন প্রধান পাইলট জেগে ওঠেন তখন তিনি বুঝতে পারেন তার কো-পাইলটও ঘুমিয়ে গেছেন। তিনি আরও দেখেন বিমানটি তার গতিপথ থেকে কিছুটা সরে গেছে। তারপর তিনি জাকার্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করান।
যাত্রা শুরুর আগে মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, দুজন পাইলটেরই রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক আছে। তাদের দেহে মাদের উপস্থিতিও পাওয়া যায়নি।
বিমান বিশেষজ্ঞ অ্যালভিন লাই বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে বলেন, পাইলটদের বিশ্রামের মান ভালো ছিল কিনা তা ওই পরীক্ষা থেকে উঠে আসেনি।
এ ঘটনায় বাটিক এয়ার কর্তৃপক্ষকে তিরস্কার করেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বিমান পরিবহন বিভাগের প্রধান এম ক্রিস্টি এন্দাহ মুরনি বলেছেন, ‘ক্রুদের বিশ্রামের সময়ের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত বাটিক এয়ারের।’
বাটিক এয়ার জানিয়েছে তারা বিমান ক্রুদের বিশ্রামের নীতি নিয়ে কাজ করছে।
২০১৯ সালেও একই বিমান সংস্থার একটি বিমানের পাইলট জ্ঞান হারিয়েছিলেন। ফলে বিমানটিকে জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করাতে হয়েছিল।