প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৮ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম
জেনারেল ফ্রাঙ্ক এস বেসন গাজায় একটি ভাসমান বন্দর নির্মাণের জন্য প্রথমবারের মতো সরঞ্জাম বহন করছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি জাহাজ গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের জন্য রসদ নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) ভার্জিনিয়া রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড। সহায়তাকারী জাহাজটির নাম জেনারেল ফ্রাঙ্ক এস বেসন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমুদ্রপথে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার এক ভাষণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ জোরদারে উপত্যকাটির উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন বাইডেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের জন্য ১ হাজার সেনার ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন এ বিষয়ে বলেছে, গাজা প্রতিদিন দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অপেক্ষা করার সময় নেই।
গাজায় জাতিসংঘের মানবিক ও পুনর্গঠন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগ বলেছেন, বিমান ও সমুদ্রপথে প্রেরিত সহায়তা স্থলপথে পাঠানো সহায়তার ঘাটতি পূরণ করতে পারবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার।