সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৫ পিএম
গত কয়েক মাসে নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোর সেনা শাসকরা ক্রমেই ঘনিষ্ঠ মিত্রতে পরিণত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে। নাইজারের সেনাপ্রধান মুসা সালাউ বারমৌ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (৬ মার্চ) নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে যৌথ বাহিনী গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর টেলিভিশনের এক বক্তৃতায় দেশটির সেনাপ্রধান মুসা সালাউ বারমৌ ঘোষণা দেন, যতদ্রুত সম্ভব যৌথবাহিনী গঠন করা হবে। তবে যৌথবাহিনীতে কোন দেশের কী পরিমাণ সেনা থাকবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
গত কয়েক বছরে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোয় সহিংসতা আরও ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
গত কয়েক মাসে উল্লিখিত তিন দেশের সেনা শাসকরা ক্রমেই ঘনিষ্ঠ মিত্রতে পরিণত হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে তারা একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। যা এলিয়েন্স অব সাহেল স্টেটস (এইএস) নামে পরিচিত।
তিনটি দেশই এক সময় ফ্রান্সের ঔপনিবেশ ছিল। ঔপনিবেশ প্রত্যাহার করা হলেও বছরের পর বছর ধরে সাহেল অঞ্চলের এসব দেশে সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল ফ্রান্স। সম্প্রতি দেশগুলো ফ্রান্সের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
এসব দেশে বর্তমানে সেনা শাসন চলছে। সেনা শাসকরা ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এসব দেশ থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও বের করে দেওয়া হয়েছে। দেশগুলো নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে।
দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক ব্লক ইকোওয়াস ছাড়ছে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে এই ব্লক থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের ওপর ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি