প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু (বাঁয়ে) ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি : সংগৃহীত
চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে মালদ্বীপ। ভারতের সঙ্গে বিবাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের এ চুক্তি বিশেষ অর্থবহ।
জানা গেছে, চুক্তি অধীনে মালদ্বীপকে সামরিক সহায়তা দেবে চীন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলতেই এই চুক্তি সই হয়েছে বলে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে ভারতকে জোর দিচ্ছিলেন। এ পর্যায়ে প্রতিবেশী দেশটিতে থেকে সেনা সরাতে বাধ্য হয় ভারত।
সোমবার (৪ মার্চ) চীনের সামরিক বিভাগের এক কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসেন মামুন। সেই বৈঠকের পরেই দুই দেশের চুক্তি সই হয়েছে।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলতে এই চুক্তি। তবে সামরিক ক্ষেত্রে মালদ্বীপকে ঠিক কীভাবে সাহায্য করবে চীন, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
মালদ্বীপের কাছে ভারতের নৌ-ঘাঁটি
মালদ্বীপের অদূরে অবস্থিত নিজেদের লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জে ৬ মার্চ একটি নতুন নৌ-ঘাঁটি উদ্বোধন করবে ভারত। এতে করে মালদ্বীপের তীর ধরে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নৌ-পথে আরও তীক্ষ্ণভাবে চোখ রাখতে পারবে দিল্লি।
শনিবার (২ মার্চ) এক বিবৃতিতে ভারতের নৌ-বাহিনী লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জে নতুন নৌ-ঘাঁটি করার এ ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মালদ্বীপের নিকটে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি নৌ-ঘাঁটি ৬ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। নতুন এ নৌ-ঘাঁটি নিয়ে ভারতের এ দ্বীপটি একটি স্বাধীন নৌ-বাহিনীর ইউনিটে পরিণত হবে।
এদিকে মালদ্বীপে থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু হচ্ছে ১০ মার্চ। তার দুয়েকদিন আগে এ নৌ-ঘাঁটি উদ্বোধনের ঘোষণা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মালদ্বীপে ভারতের মোট ৮৯ নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। তারা সেখানে ভারতের উন্নয়ন প্রকল্প ও অনুসন্ধানী বিমানে কাজ করেন। তাদের প্রথম ব্যাচটি ১০ মার্চ মালদ্বীপ ত্যাগের পর বাকিরা পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে ভারতে ফেরত আসবেন।
ভারতের লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। জনবসতি বিরল দ্বীপপুঞ্জটির কাভারত্তি দ্বীপে আগে থেকেই ভারতের একটি নৌ-ঘাঁটি রয়েছে। নতুন নৌ-ঘাঁটিটি করা হবে দ্বীপপুঞ্জটির মিনিকয় দ্বীপে। কাভারত্তি দ্বীপের চেয়ে মিনিকয় দ্বীপ মালদ্বীপের বেশি কাছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস