প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৬ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩০ পিএম
টহল দিচ্ছেন বুরকিনা ফাসোর সেনারা। ২০১৯ সালের ৩ মার্চে সাহেল অঞ্চলের গোরগাদজিরে। ছবি : সংগৃহীত
বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলের তিনটি গ্রামে এক সপ্তাহ আগে অন্তত ১৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। একজন আঞ্চলিক সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যালি বেঞ্জামিন কুলিবালি রবিবার (৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কমসিলগা, নোডিন ও সোরো এই তিনটি গ্রামে কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলা চালানোর খবর পেয়েছেন তিনি। সেখানে প্রায় ১৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওউহিগুয়ার এ কর্মকর্তা আরও জানান, হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছে। মালামালেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু হামলার জন্য কোনো গোষ্ঠীকে সুনির্দিষ্ট করে দায়ী করেননি তিনি। তবে এ হামলা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তার অফিস।
হতাহতদের মধ্যে কয়েকডজন নারী ও ছোট শিশু রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীরা নিশ্চিত করেছে, একই দিনে বুর্কিনা ফাসোর একটি মসজিদ ও একটি গীর্জাতেও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তবে মসজিদ ও গির্জায় হামলার সঙ্গে বাকি হামলাগুলোর সম্পৃক্ততা নেই।
২০১৫ সাল থেকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান ঘটে। এরপর থেকে সেখানে সহিংসতার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বারবার হামলা করছে সন্ত্রাসী দলগুলো। এসব হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
সংঘাত ও সন্ত্রাসকবলিত দেশটিতে ২০২২ সালে দুটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তাহীনতা বেশ চরম।
সাম্প্রতিক হামলার জবাবে দেশটির সামরিক বাহিনী ও পিতৃভূমির প্রতিরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকরা (ভিডিএফ) বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। এত কয়েকশ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
বুরকিনা ফাসোতে আগে মসজিদ ও ইমামদের ওপর হামলার জন্য দেশটির সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হতো। গির্জা ও খ্রিস্টানদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার জন্যও তাদেরও দায়ী করা হচ্ছে।
দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি) তথ্যমতে, শুধু জানুয়ারিতেই ৪৩৯ ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে।