প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৪ পিএম
ইসরায়েলি হামলার শিকার একটি বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছে ফিলিস্তিনিরা। ১ মার্চ দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ছয়টি। হামলায় আহত হয়েছে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে আরও অনেকে। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
একই দিন সন্ধ্যায় এ বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে রাফায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কয়েকটি শিবিরে তাঁবুতে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১১ জন নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাফা শহরের সর্বশেষ হামলায় আল সালাম এলাকার একটি চারতলা ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ছয়টি শিশু নিহত হয়েছে ও আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি।
একজন উদ্ধারকর্মী আহমেদ রেদওয়ান বলেন, ‘ভবনটিতে বেসামরিক নাগরিকসহ গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ছিল। আমরা বেশকিছু মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করেছি। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের নিচে নারী ও শিশুসহ আরও অনেক বেসামরিক নাগরিকরা আটকা পড়ে আছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট ও ভারী উদ্ধার সামগ্রী নেই। তাই হাত দিয়ে ও হালকা উদ্ধার সরঞ্জামাদি দিয়েই আমাদের উদ্ধারকর্ম চালাতে হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের পাশাপাশি গাজা উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলের বোমা হামলার কথাও জানিয়েছে ওয়াফা।
ওয়াফা আরিও জানিয়েছে শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ও নুসেইরাতে অনেকে নিহত ও আহত হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানায় নি তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩০ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭১ হাজার ৫৩৩ জন।
সূত্র : আলজাজিরা