প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪২ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৩ পিএম
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে পিটিআই চেয়ারম্যান গওহর খান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ১৬তম সংসদের প্রথম অধিবেশনে। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্বোধনী সংসদ অধিবেশন বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে শুরু হয়। শুরুর দিনই ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তার মুক্তি দাবিতে স্লোগান দেন।
পিটিআই চেয়ারম্যান গওহর খানসহ ইমরান খানে অন্য সমর্থকেরা ‘কয়েদি নম্বর ৮০৪’ এর মুক্তি চাই বলে স্লোগান দেন। ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে লাহোরের আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন। জেলে ইমরানের নম্বর ৮০৪।
ইমরানের সমর্থকদের স্লোগানের জবাবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সংসদ সদস্যরা ‘ঘড়ি চোর’ বলে পাল্টা স্লোগান দেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে যে সব মামলা চলছে তার একটি তোশাখানা মামলা। এতে রাষ্ট্রীয় উপহার অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এসব উপহারের একটি দামি ঘড়ি।
বৃহস্পতিবারের অধিবেশন পরিচালনা করেন বিদায়ি স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। তার অনুরোধে ইমরানপন্থি ও পিএমএল-এন সদস্যরা হট্টগোল বন্ধ করেন। এরপর ইমরানের দল ও সংরক্ষিত আসনসহ ২৮৪ জন সংসদ সদস্য শপথগ্রহণ করেন।
রীতি অনুযায়ী পাকিস্তানে নতুন সংসদের অধিবেশন ডাকেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন ডাকতে হয়। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল নতুন সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অধিবেশন ডাকতে গড়িমসি করছিলেন। তাই সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতীয় সংসদের সচিবালয় অধিবেশন ডাকে।
অন্যদিকে সরকার গঠন করতে যাওয়া পিএমএলএন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) অন্য দলগুলো অধিবেশন না ডাকলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট আলভিও অধিবেশন ডাকতে সম্মত হন।
আজকের অধিবেশনে নতুন সদস্যদের শপথগ্রহণই মূল বিষয়। নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে শুক্রবার (১ মার্চ)। আর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে সোমবার (৪ মার্চ)।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে চমক দেখিয়েছে কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থীরা।
২৬৬টির মধ্যে ঘোষিত ২৬৫ আসনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ১০০ আসনে জয় পেয়েছেন পিটিআই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
৭৩টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থানে থাকা বিলাওয়াল ভুট্টো পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া অন্য দল পেয়েছে ২৮টি আসন। বাকিগুলো স্বতন্ত্র।
এ অবস্থায় দফায় দফায় আলোচনা শেষে জোটে সরকার গঠনে সম্মত হয় পিএমএল-এন ও পিপিপি। সম্মতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হবেন পিএমএলএনের নওয়াজের ছোট ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আর প্রেসিডেন্ট হবেন পিপিপির আসিফ আলী জারদারি।
সূত্র : জিওনিউজ