প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৪ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৮ পিএম
মিয়ানমারে সামরিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তারা বলছে, এর মাধ্যমে ছাত্ররা দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের মিলিটারিতে যোগদানের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করতে পারে।
চলতি মাসের শুরুতে দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি সব পুরুষকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। আর নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে, তাদেরও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে জনবলের ঘাটতি পূরণ করা হয় ইউনিভার্সিটি ট্রেনিং কর্পস (ইউটিসি) থেকে। জান্তার দৈনিক কাইমন বলছে, সামরিক শাসকপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ অনেক জেনারেল ইউটিসি থেকেই এসেছেন।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ইউনিভার্সিটি অফিসার ট্রেনিং কর্পসের আদলে ১৯২২ সালে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ইউটিসি গঠিত হয়। বর্তমানে অ্যাঙ্গন, মান্দালয়, মাওলামাইন, তাউংগি, নাইপিতাও, পাথেইন ও তাউনগুতে ইউটিসি রয়েছে।
শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক জীবন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাই ইউটিসির লক্ষ্য। ডিরেক্টরেট অব মিলিশিয়া ও বর্ডার গার্ড ফোর্স পরিচালিত সংস্থাগুলোতে চার বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিবছর অক্টোবরে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে তিন দিন প্রশিক্ষণ পান।
ইউনিভার্সিটি স্টাফ ও ইউটিসি ছাত্রদের উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, সংস্থাটি মৌলিক দক্ষতা শেখায় এবং দেশকে রক্ষা করতে সামরিক বাহিনী কী করে, তা ব্যাখ্যা করে থাকে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। কিন্তু গত মাস থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে একের পর এক যুদ্ধে তারা পরাজিত হচ্ছে। এ অবস্থায় যেকোনো মূল্যে সেনাসদস্য বাড়াতে চায় দেশটির সরকার। সূত্র : ইরাবতি