প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৫ এএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৬ এএম
রবিবার ফজরের নামাজের সময় একটি সমজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়। ছবি : সংগৃহীত
বুরকিনা ফাসোতে একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় বহু মুসল্লি নিহত হয়েছে। দেশটির সংঘাত কবলিত উত্তরাঞ্চলের নাটিয়াবোয়ানী শহরে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের সময় এ হামলা হয়। একই দিন দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গির্জাতেও প্রার্থনার সময় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় অন্তত ১৫ জন।
মসজিদে হামলা প্রসঙ্গে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানান, রবিবার ভোর ৫টার দিকে বিপুল সংখ্যাক সন্ত্রাসী একসঙ্গে মসজিদে হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েক ডজন মুসল্লি নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতা রয়েছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
তবে কোনো সূত্রই নিহতের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করতে পারেনি।
সন্ত্রসীরা মসজিদে হামলার পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্চাসেবী ডিফেন্স অব দ্য ফাদারল্যান্ডের (ভিডিপি) একটি চৌকিতেও হামলা চালিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী গির্জা ও মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেনি।
হামলার পর গির্জার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে ঈশ্বরে বিশ্বাস নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার শান্তির জন্য, আহতদের আরোগ্য লাভের জন্য এবং যারা আমাদের দেশে মৃত্যু ও ধ্বংসের বীজ বপন করে চলেছে তাদের পরিবর্তনের জন্য প্রার্থনা করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনাদের।’
গোলাগুলি এমন এক অঞ্চলে ঘটেছে যেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী খ্রিস্টান গীর্জাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আর কিছু গোষ্ঠী ধর্মযাজকদের অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বছরের পর বছর ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় অর্ধেক এলাকাই বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। যা দেশটির স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। উপরন্তু ২০২২ সালের পর থেকে দেশটিতে দুটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে প্রথম সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এর পর থেকে জান্তা সরকার শান্তি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।
২০২৩ সালের আগস্টে আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আগের ১৮ মাসের তুলনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে নিহত মানুষের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।