প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২১ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৬ এএম
বিক্ষোভ করছেন কর্মবিরতিতে যাওয়া চিকিৎসকরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ধর্মঘটরত তরুণ ডাক্তারদের কাজে ফেরার জন্য চারদিন সময় দিয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সময়মতো কাজে না ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন ও মেডিকেল লাইসেন্স স্থগিত করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সরকার ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার মেডিকেল স্কুলে ভর্তি প্রায় ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইন্টার্নসহ প্রায় ৯ হাজার ডাক্তার কর্মবিরতি শুরু করে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য অস্ত্রোপচার ও অন্য চিকিৎসা বাতিল করতে হয়েছে।
নিরাপত্তামন্ত্রী লি সাং-মিন জানান, হাসপাতালগুলোতে বিশৃঙ্খলা বেড়ে চলেছে। ধর্মঘটের কারণে জরুরি পরিষেবাগুলো ‘বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ পৌঁছে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এই আল্টিমেটাম জারি করেছে।’
তরুণ ডাক্তারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আপনি হাসপাতালে নিজের কাজে ফিরে গেলে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে তার জন্য আপনাকে দায়ী করা হবে না। আমরা আপনাদের রোগীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন, আপনার কণ্ঠস্বর কেবল তখনই উচ্চৈঃস্বরে ও সবচেয়ে কার্যকরভাবে শোনা যাবে যখন আপনি তাদের পাশে থাকবেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যার জন্য আরও ডাক্তার যুক্ত করা প্রয়োজন। দেশের বর্তমান ডাক্তার-রোগীর অনুপাত উন্নত বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন।
প্রতিবাদকারী তরুণ চিকিৎসকরা বলেন, চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর আগে সরকারের উচিত প্রথমে বেতন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক মিন-সু বলেন, ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার আগে যারা কাজে ফিরে আসবেন না তাদের মেডিকেল লাইসেন্স অন্তত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হবে। তারা সামনে তদন্ত ও সম্ভাব্য অভিযোগের মতো আইনি পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৮ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। এই মাসের শুরুতে সরকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী বছর থেকে ২ হাজার আসন বাড়িয়ে ৫ হাজার ৫৮ জনকে ভর্তি নিবে। সরকারের লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক বাড়ানো।
জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরাও সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বেশ কয়েকবার সমাবেশ করেছে।
একটি জরিপে দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষ সরকারের পরিকল্পনার সমর্থন করেন।
সূত্র : আলজাজিরা