প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার পর ইয়েমেনের রাজধানী সানা। ছবি : সংগৃহীত
ইয়েমেনে হুতিদের ১৮টি স্থাপনা লক্ষ্য করে চতুর্থবারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত
করেছে পেন্টাগন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লোহিত সাগরের জাহাজে লাগাতার আক্রমণের কয়েক সপ্তাহ পরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন করে এই হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে হুতির ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের ভান্ডার, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা, একমুখী হামলার জন্য মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার এবং হেলিকপ্টার ছিল।
অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের সহায়তায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজে ৪৫টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে হুতিরা। এই হামলাগুলো বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন হামলার পর পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হুতিদের কাছে পরিষ্কার করে দেব যে তারা যদি মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির ক্ষতি করে, পরিবেশের ক্ষতি করে এবং ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশে মানবিক সহায়তা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটায়, এমন অযাচিত হামলা বন্ধ না করে তাহলে তারা এর পরিণতি ভোগ করবে।’
হুতিরা বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি